প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের অদম্য ইচ্ছায় আফিরউদ্দীন মাদবর কান্দি’তে (২নং ওয়ার্ড, ডি.এ.খালী ইউনিয়ন, থানা- সখিপুর, উপজেলা- ভেদরগঞ্জ, জেলা- শরীয়তপুর) ভেদরগঞ্জ- আলুবাজার সড়কের পাশে ০১/০১/১৯৯৭সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মনোয়ারা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিশিষ্ট রাজনীতিক সৈয়দ আমির খশরু মহোদয়ের পরামর্শ, পরিকল্পনা ও সংকল্পে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনা এগিয়ে চলে। এত্দলক্ষ্যে জনাব আজহারুল ইসলাম ( সাবেক চেয়ারম্যান, ডি.এম.খালী ইউনিয়ন পরিষদ) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন (সাবেক উপাধ্যক্ষ, আবুজর গিফারী কলেজ) ভাতৃদ্বয় প্রতিষ্ঠান অনুকুলে ০১ একর জমি দান করেন ( যুগ্ম জমিদাতা )। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী জয়নুল হক সিকদার মহোদয় তাঁর স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণের অভিপ্রায়ে বিধিমোতাবেক অর্থ প্রদান করলে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় - মনোয়ারা সিকদার বালিকা বিদ্যালয় । জমিদাতা পরিবারের আরেক সন্তান তরুণ সমাজকর্মী ও রাজনীতিক জনাব নূরে আলম সিদ্দিক প্রতিষ্ঠান অনুকূলে ৭৫,০০০/- (পঁচাত্তর হাজার) টাকা দান করে, “আজীবন দাতা” সদস্য হন।
০১/০১/১৯৯৭ সাল থেকে বিদ্যালয়টি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি লাভ করে। ০১/০১/২০০০খ্রি. প্রতিষ্ঠানটি নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/০৩/২০০১খ্রি. উক্ত পর্যায়ে এম পি ও ভূক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ০১/০১/২০০৯খ্রি. নবম-দশম শ্রেণির পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি, ০১/০১/২০১৩খ্রি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি অর্জন করে। একাডেমিক স্তরের এই উন্নীতকরণের ফলে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ নাম হয় - মনোয়ারা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের এই অর্জনের পথে আমাদের প্রেরণা ও সমর্থন যুগিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মহান জাতীয় বীর জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির আইকন জননেতা জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম এম.পি, মাননীয় উপমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহোদয় । বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি অর্জন, এমপিওভূক্তি, স্তর উন্নীতকরণ ও অবকাঠামো নির্মাণে তাঁদের ঋণ অপরিশোধ্য।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিকুলতা স্বত্তেও এসএসসি পরীক্ষায় একাধিকবার শতভাগ পাশের সাফল্য দেখিয়েছে। এখানে সীমাবদ্ধতা আছে - সাথে আছে সংকল্প ও স্বপ্নজয়ের গাঁথা। আর এই প্রত্যয় নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর “সোনারবাংলা” ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এম পি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহোদয়ের “স্মার্ট বাংলাদেশ” বির্নিমাণের পথে নারীর ক্ষমতায়ণ সৃষ্টিতে কাজ করে চলছে অবিরাম। প্রতিষ্ঠান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে নারী জাগরণ মানেই মুক্তি। তাই মুক্তির পথে আমরা দৃঢ় বিশ্বাসে উচ্চারণ করি “জাগো নারী, জাগো বহ্নিশিখা।”